biography on rabindranath tagore in bengali

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী বাংলায় Rabindranath Tagore Biography in Bengali Language

আজ আমরা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী বাংলায় (Rabindranath Tagore Biography in Bengali Language) সংক্ষিপ্ত আকারে জানব।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোনো পরিচয়ের অপেক্ষা রাখেন না। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, লেখক, নাট্যকার, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।

“গীতাঞ্জলি” কাব্যগ্রন্থ রচনার জন্য তিনি ১৯১৩ সালে সুইডিশ অ্যাকাডেমি কর্তৃক নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত হন এবং তিনিই এশিয়ার প্রথম ব্যক্তি যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।

বিখ্যাত ‘বিশ্ববিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়’ তিনিই স্থাপন করেছিলেন।

এই বিশ্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই একমাত্র লেখক যার লেখা দুটি রচনা ভারত ও বাংলাদেশ সরকার জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে বেছে নিয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী

জন্ম৭ই মে, ১৮৬১ (২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ)
মৃত্যু৭ই আগস্ট, ১৯৪১ (২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)
বাবার নামদেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭–১৯০৫ সন)
মায়ের নামসারদাসুন্দরী দেবী (১৮২৬–১৮৭৫সন)
জন্ম ও মৃত্যু স্থানকলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। এখন কলকাতা পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
মৃত্যু কালে বয়স৮০ বছর
ডাকনামরবি
ছদ্মনামভানুসিংহ ঠাকুর (ভণিতা)
উপাধিগুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি
স্ত্রীর নামমৃণালিনী দেবী
ছেলে ও মেয়েরথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাধুরীলতা দেবী, মীরা দেবী এবং রেণুকা দেবী
ভাইবোনসত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বর্ণকুমারী দেবী, পূণ্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সোমেন্দ্রনাথ ঠাকুর, বীরেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সৌদামিনী ঠাকুর, বর্ণকুমারী ঠাকুর, শরৎকুমারী ঠাকুর, ভুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ঠাকুরদাদা ঠাকুর (১৩ জন)
পেশাকবি, লেখক, সঙ্গীতজ্ঞ, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক এবং চিত্রশিল্পী
ধর্মহিন্দু ধর্ম
ভাষাবাংলা, ইংরেজি
নাগরিকত্বভারতীয়
সময়কালবঙ্গীয় নবজাগরণ
সাহিত্য আন্দোলনপ্রাসঙ্গিক আধুনিকতা
পুরস্কারনোবেল পুরস্কার (১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য)
উল্লেখযোগ্য কর্মগীতাঞ্জলি (১৯১০), জন গণ মন (ভারতের জাতীয় সঙ্গীত), আমার সোনার বাংলা (বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত), রবীন্দ্র রচনাবলী, গোরা, ঘরে-বাইরে, শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে জন্মগ্রহণ করেন.

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ই মে (২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ)) কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন পিতা মাতার ১৪ তম সন্তান।

কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি

তিনি একটি বুদ্ধিজীবী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পরিবারের সবাই ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও প্রতিভার অধিকারী।

আরও পড়ুন: শুভ রবীন্দ্র জয়ন্তীর শুভেচ্ছা বার্তা ও ছবি

পরিবার পরিচয়

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবার নাম কি.

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

তাঁর পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর “ব্রাহ্মসমাজ” দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। তাই তিনি আধ্যাত্মিক পথ বেছে নিয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মায়ের নাম কি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মায়ের নাম মাতার নাম সারদা দেবী।

তিনি খুব ছোট ছিলেন যখন তাঁর মা সারদা দেবী মারা যান। সেজন্য তিনি চাকরদের দ্বারা লালিত পালিত হয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাই বোন কত জন?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৩ জন ভাইবোন ছিল এবং তিনি ছিলেন চতুর্থ জীবিত পুত্র।

তাঁর ১৩ জন ভাই ও বোনের নাম হল সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বর্ণকুমারী দেবী, পূণ্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সোমেন্দ্রনাথ ঠাকুর, বীরেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সৌদামিনী ঠাকুর, বর্ণকুমারী ঠাকুর, শরৎকুমারী ঠাকুর, ভুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ঠাকুরদাদা ঠাকুর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ ভাই দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন কবি এবং দার্শনিক।

তাঁর দ্বিতীয় বড় ভাই সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন প্রথম ভারতীয় এবং অ-ইউরোপীয় যিনি ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের জন্য নির্বাচিত হন।

তাঁর আরেক বড় ভাই জ্যোতিন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন সঙ্গীতজ্ঞ ও নাট্যকার।

স্বর্ণকুমারী নামে তাঁর একটি বোনও ছিল, যিনি ছিলেন একজন উপন্যাসিক।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বড় ভাই জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে ৯ বছর বয়সী কাদম্বরী দেবীর বিয়ে হয়েছিল।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাদম্বরী দেবীর বয়স প্রায় সমান ছিল। এই কারণেই তারা বেশিরভাগ সময় একসাথে কাটাতেন।

বলা হয় কাদম্বরী দেবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমে পড়েছিলেন। তাই ১৮৮৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিয়ের পর কাদম্বরী দেবী আত্মহত্যা করেছিলেন।

বিবাহ, স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে

১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর (২৪ অগ্রহায়ণ, ১২৯০ বঙ্গাব্দ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে মৃণালিনী দেবীকে (১৮৭৩–১৯০২) বিয়ে করেন।

স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, ১৮৮৩

মৃণালিনী দেবী ছিলেন ঠাকুর বাড়ির এক অধস্তন কর্মচারী বেণীমাধব রায়চৌধুরীর কন্যা “ভবতারিণী”। বিবাহের পর ভবতারিণীর নাম রাখা হয়েছিল “মৃণালিনী দেবী”।

রবীন্দ্রনাথ ও মৃণালিনীর পাঁচ জন সন্তান ছিলেন। তারা হল – মাধুরীলতা, রথীন্দ্রনাথ, রেণুকা, মীরা এবং শমীন্দ্রনাথ।

রেণুকা ও শমীন্দ্রনাথ খুব অল্প বয়সে মারা যান।

দুঃখজনক সময়

১৯০২ সালে তাঁর স্ত্রী মৃণালিনী দেবী এবং কিছুকাল পরে তার দুই সন্তান মারা যায়।

১৯০৫ সালে তার পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরও মারা যান।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শৈশব জীবন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা জীবন

প্রাথমিক শিক্ষা.

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বনামধন্য সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল (St. Xavier’s School) থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা একেবারেই পছন্দ করতেন না। তাই তিনি প্রায়শই স্কুল থেকে পালিয়ে যেতেন।

তিনি বিশ্বাস করতেন যে, প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থা আজকের ব্যবস্থার চেয়ে অনেক উন্নত ছিল।

রবীন্দ্রনাথ বাড়িতে অনেক কিছু শিখেছিলেন, যেমন – কুস্তি, শিল্প, ভূগোল, ইতিহাস, সাহিত্য, গণিত, সংস্কৃতি এবং ইংরেজি। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছিল তাঁর আরেক ভাই হরেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

তাঁর পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরও তাঁর সন্তানদের ইংরেজি ও সঙ্গীত শেখার জন্য উৎসাহিত করতেন। তাই তাঁর বাবা বাড়িতে কয়েকজন সংগীতজ্ঞ নিয়োগ করেছিলেন।

উচ্চ শিক্ষা ও বিদেশ সফর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে বড় হয়ে আইনজীবী হবে।

এই কারণেই ১৮৭৮ সালে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইংল্যান্ডের পূর্ব সাসেক্সের ব্রাইটনে একটি পাবলিক কলেজে ভর্তি হন। পরে তিনি আইন অধ্যয়নের জন্য ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনে ভর্তি হন।

কিন্তু প্রথাগত শিক্ষায় আগ্রহের অভাবের জন্য তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দেন এবং নিজের চেষ্টায় শেক্সপিয়ারের বিভিন্ন কাজ শিখতে শুরু করেন। তিনি ইংরেজি, আইরিশ এবং স্কটিশ সাহিত্য ও সঙ্গীতের সারমর্মও শিখেছিলেন।

১৮৮০ সালে দেড় বছর পর তিনি কোনো ডিগ্রি ছাড়াই বাংলায় ফিরে আসেন।

ভারতে এসে তিনি ১৮৮২ সালে দুটি শ্লোক নাটক প্রকাশ করেন, একটির নাম “রুদ্র চক্র” এবং অন্যটি “সন্ধ্যা সঙ্গীত” কবিতার সংকলন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা দর্শন ও শিক্ষা চিন্তা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার চেয়ে প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থাকে শ্রেয় বলে মনে করতেন। তিনি তাঁর “তোতা-কাহিনী” গল্পে মুখস্ত বিদ্যা নির্ভর পড়াশোনার তীব্র ভৎসনা করেছেন।

তিনি ভারতের প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করতে চেয়েছিলেন – যেখানে গাছের নিচে পড়ানো হবে, শিক্ষার্থীদের আধ্যাত্মিক শিক্ষা দেওয়া হবে এবং শিক্ষার্থীরা কয়েক বছর ধরে ব্রহ্মচর্য পালন করবে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্ম

সারা বিশ্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মূলত একজন কবি হিসেবে বিখ্যাত। তবে তিনি কবিতা ছাড়াও লিখে গিয়েছেন ১৯১৫ টি গান, ১৩ টি উপন্যাস, ৯৫ টি ছোটগল্প, ৩৬ টি প্রবন্ধ ও গদ্যগ্রন্থ এবং ৩৮ টি নাটক।

তাঁর রচনাবলী আয়তনে এতই বিশাল যে তা “রবীন্দ্র রচনাবলী” নামে ৩২ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।

নিম্নে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্মের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হল-

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা সমগ্র

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কর্ম জীবনে অজস্র কবিতা রচনা করেছেন। তাঁর মধ্যে কয়েকটি হল-

  • কবি-কাহিনী (১৮৭৮),
  • বনফুল (১৮৮০),
  • ভগ্নহৃদয় (১৮৮১),
  • সন্ধ্যা সঙ্গীত (১৮৮২),
  • প্রভাতসংগীত (১৮৮৩),
  • ছবি ও গান (১৮৮৪),
  • কড়ি ও কোমল (১৮৮৬),
  • মানসী (১৮৯০),
  • সোনার তরী (১৮৯৪),
  • চিত্রা (১৮৯৬),
  • চৈতালি (১৮৯৬),
  • কল্পনা (১৯০০),
  • ক্ষণিকা (১৯০০),
  • নৈবেদ্য (১৯০১),
  • খেয়া (১৯০৬),
  • গীতাঞ্জলি (১৯১০),
  • গীতিমাল্য (১৯১৪),
  • গীতালি (১৯১৪),
  • বলাকা (১৯১৬),
  • পলাতকা (১৯১৮),
  • পূরবী (১৯২৫),
  • মহুয়া (১৯২৯),
  • পুনশ্চ (১৯৩২),
  • শেষ সপ্তক (১৯৩৫),
  • পত্রপুট (১৯৩৬),
  • শ্যামলী (১৯৩৬),
  • রোগশয্যায় (১৯৪০),
  • আরোগ্য (১৯৪১),
  • জন্মদিনে (১৯৪১),
  • শেষ লেখা (১৯৪১, মরণোত্তর প্রকাশিত)

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ কবিতা “তোমার সৃষ্টির পথ” যা তিনি মৃত্যুর আট দিন আগে মৌখিকভাবে রচনা করেছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্প সমগ্র

বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান অপরিসীম। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোটগল্পকার।

তিনি তাঁর ছোট গল্পে সাধারণত আসে পাশের ঘটনাবলি ও আধুনিক ধ্যানধারণা সম্পর্কে তাঁর নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কয়েকটি ছোট গল্প হল:

  • ভিখারিনী (১৮৭৭),
  • খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন (১৮৯১),
  • কঙ্কাল (১৮৯১),
  • নিশীথে (১৮৯৪),
  • মণিহারা (১৮৯৮),
  • ক্ষুধিত পাষাণ (১৮৯৫),
  • স্ত্রীর পত্র (১৯১৪),
  • নষ্টনীড় (১৯০১),
  • কাবুলিওয়ালা (১৮৯২),
  • হৈমন্তী (১৯১৪),
  • দেনাপাওনা (১৮৯১),
  • পোস্টমাস্টার (১৮৯১),
  • মাস্টারমশাই (১৯০৭)।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বিভিন্ন ছোট গল্প অবলম্বনে অনেক চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। যেমন –

  • সত্যজিৎ রায় পরিচালিত “তিন কন্যা” (১৯৬১) (“মনিহারা”, “পোস্টমাস্টার” ও “সমাপ্তি” অবলম্বনে) ও “চারুলতা” (১৯৬৪) (“নষ্টনীড়” অবলম্বনে),
  • তপন সিংহ পরিচালিত “অতিথি” (১৯৬৫), “কাবুলিওয়ালা (১৯৫৭)” ও “ক্ষুধিত পাষাণ” (১৯৬০),
  • পূর্ণেন্দু পত্রী পরিচালিত “স্ত্রীর পত্র”।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসের নাম

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সাহিত্য জীবনে মোট ১৩ টি উপন্যাস রচনা করেছিলেন। এগুলি হল:

  • বৌ-ঠাকুরাণীর হাট (১৮৮৩),
  • রাজর্ষি (১৮৮৭),
  • চোখের বালি (১৯০৩),
  • নৌকাডুবি (১৯০৬),
  • প্রজাপতির নির্বন্ধ (১৯০৮),
  • গোরা (১৯১০),
  • ঘরে বাইরে (১৯১৬),
  • চতুরঙ্গ (১৯১৬),
  • যোগাযোগ (১৯২৯),
  • শেষের কবিতা (১৯২৯),
  • দুই বোন (১৯৩৩),
  • মালঞ্চ (১৯৩৪),
  • চার অধ্যায় (১৯৩৪)।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উপন্যাস অবলম্বনে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছে। যেমন –

  • সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘ঘরে বাইরে’ (১৯৮৪),
  • ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত ‘চোখের বালি’ (২০০৩)।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধ সমূহ

গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সাহিত্য অসংখ্য প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন। প্রবন্ধ গুলিতে তিনি সমাজ, ধর্ম, রাজনীতি, সাহিত্য, ইতিহাস, ভাষাতত্ব, সংগীত ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর মতামত প্রকাশ করেছিলেন।

তাঁর প্রবন্ধ গুলি বিভিন্ন সংকলনে এখনও পর্যন্ত ১৯ টি খন্ডে প্রকাশিত হয়েছে। এমন কয়েকটি সংকলন হল:

  • সমাজ (১৯০৮),
  • কালান্তর (১৯৩৭),
  • ধর্ম (১৯০৯),
  • শান্তিনিকেতন (১৯০৯-১৬),
  • ভারতবর্ষ (১৯০৬),
  • ইতিহাস (১৯৫৫),
  • সাহিত্য (১৯০৭),
  • সাহিত্যের পথে (১৯৩৬),
  • সাহিত্যের স্বরূপ (১৯৪৩),
  • প্রাচীন সাহিত্য (১৯০৭),
  • আধুনিক সাহিত্য  (১৯০৭),
  • লোকসাহিত্য (১৯০৭),
  • শব্দতত্ত্ব (১৯০৯),
  • বাংলা ভাষা পরিচয় (১৯৩৮),
  • ছন্দ (১৯৩৬),
  • সংগীতচিন্তা (১৯৬৬),
  • শিক্ষা (১৯০৮),
  • ন্যাশনালিজম  (Nationalism, ১৯১৭),
  • রিলিজিয়ন অফ ম্যান (Religion of Man, ১৯৩০)
  • মানুষের ধর্ম ( ১৯৩৩)
  • সভ্যতার সংকট (১৯৪১),
  • বিশ্বপরিচয় (১৯৩৭),
  • জীবনস্মৃতি (১৯১২),
  • ছেলেবেলা (১৯৪০),
  • আত্মপরিচয় (১৯৪৩)।

পত্রসাহিত্য

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পত্র সাহিত্য মোট ১৯ টি খন্ডে প্রকাশিত হয়েছিল। এমন কয়েকটি পত্রসাহিত্য হল:

  • ছিন্নপত্র ও ছিন্নপত্রাবলী (১৮৮৭-১৮৯৫),
  • ভানুসিংহের পত্রাবলী (১৮৮৪),
  • পথে ও পথের প্রান্তে (১৯২৯-১৯৩০)।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে নাট্যকার ও নাট্যাভিনেতা। তিনি বেশ কয়েকটি গীতিনাট্য রচনা করেছিলেন। এমন কয়েকটি গীতিনাট্য হল:

  • বাল্মীকিপ্রতিভা (১৮৮১),
  • কালমৃগয়া (১৮৮২)

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতিনাট্য রচনার পর কয়েকটি কাব্যনাট্য রচনা করেন। সেগুলি হল:

  • রাজা ও রাণী (১৮৮৯),
  • বিসর্জন (১৮৯০),
  • চিত্রাঙ্গদা (১৮৯২),
  • মালিনী (১৮৯৬)।

প্রহসন রচনা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাব্যনাট্যের পর প্রহসন রচনা শুরু করেন। এমন কয়েকটি প্রহসন রচনা হল:

  • গোড়ায় গলদ (১৮৯২),
  • বৈকুণ্ঠের খাতা (১৮৯৭),
  • হাস্যকৌতুক (১৯০৭),
  • ব্যঙ্গকৌতুক (১৯০৭)।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটকের তালিকা

১৯০৮ সালের পর থেকে রবীন্দ্রনাথ রূপক-সাংকেতিক তত্ত্বধর্মী নাট্যরচনা শুরু করেন।

রবীন্দ্রনাথের এমন কয়েকটি রূপক-সাংকেতিক নাট্যরচনা হল:

  • শারদোৎসব (১৯০৮),
  • রাজা (১৯১০),
  • ডাকঘর (১৯১২),
  • অচলায়তন (১৯১২),
  • ফাল্গুনী (১৯১৬),
  • মুক্তধারা (১৯২২),
  • রক্তকরবী (১৯২৬),
  • তাসের দেশ (১৯৩৩),
  • কালের যাত্রা (১৯৩২),
  • প্রকৃতির প্রতিশোধ (১৮৮৪),

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বেশ কয়েকটি পুরোনো নাটক শান্তিনিকেতনে ছাত্র ছাত্রীদের অভিনয়ের সুবিধার্থে সংক্ষিপ্ত আকারে লিখে নতুন নামে প্রকাশ করেন।

এমন কয়েকটি নাটকের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ হল:

  • ঋণশোধ (১৯২১) (‘শারদোৎসব’ নাটকের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ),
  • অরূপরতন (১৯২০), (‘রাজা’ নাটকের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ),
  • গুরু (১৯১৮), (‘অচলায়তন’ নাটকের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ),
  • শেষরক্ষা (১৯২৮), (‘গোড়ায় গলদ’ নাটকের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ),
  • তপতী (১৯২৯) (‘রাজা ও রাণী’ নাটকের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ),
  • পরিত্রাণ (১৯২৯) (‘প্রায়শ্চিত্ত’ নাটকের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ)

১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘নটীর পূজা’ নাটকে অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে নাচ ও গানের প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন। পরে নাচ ও গানের সঙ্গে পরিবেশিত নাটক ‘নৃত্যনাট্য’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এমন কয়েকটি নৃত্যনাট্য হল:

  • নটীর পূজা (১৯২৬),
  • শাপমোচন (১৯৩১),
  • নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা (১৯৩৬),
  • নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা (১৯৩৮),
  • শ্যামা (১৯৩৯)।

রবীন্দ্র সংগীত

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীত – এই তিন ধরণের সংগীতের সংমিশ্রণ করে এক নতুন ধরণের শৈলীর জন্ম দেন যা ‘রবীন্দ্র সংগীত’ নামে পরিচিত।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫ টি গান রচনা করেছিলেন। তাঁর রচিত সব গান ‘গীতবিতান’ গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।

রবীন্দ্র নৃত্য

সংগীতের মতোই রবীন্দ্রনাথ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের লোকনৃত্য ও ধ্রুপদি নৃত্যশৈলীগুলির সংমিশ্রণে এক নতুন শৈলীর প্রবর্তন করেন। এই নতুন শৈলীটি “রবীন্দ্রনৃত্য” নামে পরিচিত হয়।

ছবি আঁকতে রবীন্দ্রনাথের কোনো প্রথাগত শিক্ষা ছিল না। তিনি যে সমস্ত ছবি ও স্কেচ এঁকেছিলেন তা নিজের চেষ্টাতেই এঁকেছিলেন। তিনি ২৫০০ এর বেশি ছবি এঁকেছিলেন এবং এর মধ্যে ১৫৭৪ টি ছবি শান্তিনিকেতনে সংরক্ষন করা আছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ছবি গুলো ফ্রান্সের প্যারিস শহরের পিগাল আর্ট গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়েছিল। এর পর সারা ইউরোপে তাঁর আঁকা ছবি প্রদর্শিত হয়।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী

শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “তোতা কাহিনী” গল্পে একটি খাঁচাবদ্ধ পাখির রূপক ব্যবহার করে দেখিয়েছিলেন কিভাবে বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্থা ছাত্র সমাজকে নিরস মুখস্ত বিদ্যার মাধ্যমে বৌদ্ধিক মৃত্যুর পথে ঠেলে দিচ্ছে।

তিনি শান্তিনিকেতনকে কেন্দ্র করে দেশ বিদেশের গন্ডির বাইরে একটি বিশ্ব শিক্ষাকেন্দ্র স্থাপনের চিন্তা ভাবনা শুরু করেন এবং ২৩ ডিসেম্বর ১৯২১ সালে তিনি “বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠা করেন।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বইয়ের কপিরাইট এমনকি তাঁর স্ত্রীর গয়নাও বিক্রি করেছিলেন। তিনি সারাজীবন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য কাজ করেছেন, এর জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন, নাটকও করেছেন।

দেশপ্রেম এবং দয়াভাব

জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘নাইট হুড’ উপাধি ত্যাগ করেন।

তিনি নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন এবং ব্রিটিশদের অত্যাচারী নীতিরও বিরোধিতা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কৃষকদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন এবং কৃষকদের সমর্থন করেছেন।

তিনি মহাত্মা গান্ধীর মতো সহিংসতারও বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে মানবতাই সবচেয়ে বড় জিনিস যা যুদ্ধ শেষ করতে পারে।

রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সর্বদা জাতীয়তাবাদকে সমর্থন করেছেন। এটা তার দেশপ্রেম ছিল যে তিনি নাইট উপাধি ত্যাগ করেছিলেন।

শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আতিথেয়তায় মহাত্মা গান্ধী, ১৯৪০

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কখনোই অসহযোগ আন্দোলনকে সমর্থন করেননি। তিনি বিশ্বাস করতেন যে আমরা কাউকে সম্পূর্ণভাবে বয়কট করতে পারি না। আমরা তাদের কাছ থেকে শিক্ষা, বিজ্ঞানের মতো কিছু শিখতে পারি। এখানেই গান্ধীজির চিন্তা ও ঠাকুরের চিন্তা মেলে নি।

১৮৭৮ থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট ১২ বার বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন এবং ৩০ টির বেশি দেশ ভ্রমণ করেছিলেন।

তিনি ভ্রমণ করেছিলেন – ইংল্যান্ড, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, চীন, আর্জেন্টিনা, পেরু, মেক্সিকো, ইতালি, গ্রিস, তুরস্ক, মিশর, বালি, জাভা, কুয়ালালামপুর, মালাক্কা, পেনাং, সিয়াম, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, সোভিয়েত রাশিয়া, ইরাক, পারস্য, সিংহল।

এই সব দেশে তিনি আইনস্টাইন থেকে শুরু করে অনেক বিখ্যাত মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তিনি তাঁর সাহিত্যকর্মকে বাংলা ভাষা বোঝেন না এমন লোকদের মাঝে নিয়ে যান।

পেরু ও মেক্সিকো উভয় দেশের সরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১,০০,০০০ মার্কিন ডলার অর্থসাহায্য প্রদান করেছিল।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে নোবেল পুরস্কার পান?

১৯১৩ সালের নভেম্বরে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার, গীতাঞ্জলির জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

গীতাঞ্জলি একটি কবিতার সংকলন, যাতে মোট ১০৩ টি কবিতা রয়েছে।

অন্যান্য পুরস্কার ও সম্মান

১৯১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে “ডক্টর অফ লিটারেচার” ডিগ্রি দিয়ে সম্মানিত করে।

১৯১৫ সালের ৩ জুন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ব্রিটেন “নাইটহুড” উপাধিতে ভূষিত করেছিল। তিনি জালিয়ানওয়ালা হত্যাকাণ্ডের পরে এই উপাধি ত্যাগ করেছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু কত সালে

কবিকে ঘিরে ছিল নানা রোগ। তাই তাঁর জীবনের শেষ চারটি বছর কেটেছে অনেক কষ্ট ও যন্ত্রণায়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমাধিস্থল, নিমতলা মহাশ্মশান, কলকাতা।

দীর্ঘ রোগ ভোগের পর ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট জোড়াসাঁকোর বাড়িতে ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাতীয় সংগীত

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা দুটি দেশ জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।

  • জন গণ মন – “জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে….” হল ভারতের জাতীয় সঙ্গীত যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা, যা ২৪ জানুয়ারী ১৯৫০ সালে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল।
  • আমার সোনার বাংলা – “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি” ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন। যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ তার জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে বেছে নেয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত জীবনী রচনা বাংলায় Rabindranath Tagore Jiboni in Bengali

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে কিছু Interesting তথ্য

আইনস্টাইন ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ১৯৩০

  • ১৯৩০ সালে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের সাথে দেখা করেছিলেন।
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর সমগ্র জীবনে প্রায় ১৯১৫ টি গান রচনা করেছেন।
  • বিশ্বে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই একমাত্র ব্যক্তি যার দুটি রচনা দুটি দেশের জাতীয় সঙ্গীত হয়ে ওঠে।
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন প্রথম অ-ইউরোপীয় যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
  • জালিয়ানওয়ালা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “নাইট হুড” উপাধি ত্যাগ করেন।

আরো পড়ুন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১২০ টি উক্তি

সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQ)

তিনি ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, নাট্যকার। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান।

৭ই মে, ১৮৬১ সালে।

২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ।

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর

সারদাসুন্দরী দেবী

ভানুসিংহ ঠাকুর

প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর

সৌমেন্দ্রনাথ ঠাকুর

প্রথম কবিতা “অভিলাষ” (১৮৭৪)।

শেষ কবিতা “তোমার সৃষ্টির পথ” মৃত্যুর আট দিন আগে মৌখিকভাবে লিখেছিলেন।

কবি কাহিনী (১৮৭৮)

বৌ-ঠাকুরাণীর হাট, রাজর্ষি, চোখের বালি, নৌকাডুবি, প্রজাপতির নির্বন্ধ, গোরা, ঘরে বাইরে, চতুরঙ্গ, যোগাযোগ, শেষের কবিতা, দুই বোন, মালঞ্চ এবং চার অধ্যায়।

চার অধ্যায় (১৯৩৪)

জীবনস্মৃতি (১৯১২), ছেলেবেলা (১৯৪০) ও আত্মপরিচয় (১৯৪৩)।

১৯১৩ সালের নভেম্বর মাসে।

৫২ বছর বয়সে।

শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি

দুটি দেশের – ভারত (জন গণ মন) ও বাংলাদেশ (আমার সোনার বাংলা)।

৭ই আগস্ট, ১৯৪১ (২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)

আশা করি আজকের প্রতিবেদন “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী বাংলায় Rabindranath Tagore Biography in Bengali” আপনার ভালো লেগেছে এবং আপনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন কাহিনী সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য জানতে পেরেছেন।

আর অবশ্যই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী রচনা টি সবার সাথে Share🚀 করুন।

সবার সাথে শেয়ার করুন (Share) :

  • Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
  • Click to share on Facebook (Opens in new window)
  • Click to share on Twitter (Opens in new window)
  • Click to share on Telegram (Opens in new window)
  • Click to share on Pinterest (Opens in new window)
  • Click to share on LinkedIn (Opens in new window)
  • Click to share on Reddit (Opens in new window)
  • Click to share on Tumblr (Opens in new window)
  • Click to email a link to a friend (Opens in new window)
  • Click to print (Opens in new window)

আপনি এই লেখাগুলো পড়তে পারেন:

Leave a comment cancel reply.

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

Notify me of follow-up comments by email.

Notify me of new posts by email.

  • উত্তর 24 পরগণা
  • দক্ষিণ 24 পরগণা
  • পূর্ব বর্ধমান
  • পশ্চিম বর্ধমান
  • পূর্ব মেদিনীপুর
  • পশ্চিম মেদিনীপুর
  • আলিপুরদুয়ার
  • উত্তর দিনাজপুর
  • দক্ষিণ দিনাজপুর
  • মুর্শিদাবাদ
  • Privacy Policy
  • Terms and Conditions
  • Copyright Policy

Rabindranath Tagore Biography In Bengali: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর জীবন পরিচয়

Rabindranath Tagore

Table of Contents

bengaliportal

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর জীবনী: Biography of Rabindranath Tagore

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর জন্ম স্থান ও পিতামাতা: birth place and parents of rabindranath tagore.

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) এর জীবনী : ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী এবং বিশ্ববিখ্যাত কবি রবীন্দ্রনাথের জন্ম 1861 খ্রিঃ 7 ই এপ্রিল, বাংলা 1268 সালের 25 শে বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে। তার পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবংমাতার নাম সারদাদেবী। সেকালের জমিদার পরিবার হলেও ঠাকুরবাড়ি ছিল শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে অগ্র গণ্য। পড়াশােনার সঙ্গে সঙ্গীত, অভিনয়, ছবি আঁকা, শরীর চর্চা, এসবের মধ্য দিয়েই এই পরিবারের শিশুদের জীবন শুরু হতাে। তবে এই বিশাল পরিবারে পুরুষ মহিলা এবং ছােটদের জন্য নির্দিষ্ট ছিল ভিন্ন ভিন্ন জগৎ। বিশেষ করে ছােটদের চলতে হত কঠোর অনুশাসনের মধ্যে। তাদের দেখাশােনার ভার থাকত পারিবারিক ভৃত্যকুলের হাতে। অবশ্য অভিভাবকদের নজরদারি থাকত সর্বত্র।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ছোটবেলা: Rabindranath Tagore’s Childhood

রবীন্দ্রনাথের ( Rabindranath Tagore ) ছােটবেলাটা কেটেছে ভৃত্যকুলের হাতে। তাদের প্রহরাতেই তার মনােবিকাশের শুরু। শৈশব থেকে কৈশােরে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন এদের মধ্যে থেকেই। পরবর্তী জীবনে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বা পটু ওই ভৃত্যদের নিয়ে নানা প্রবন্ধ লিখেছেন যা বাংলা রস – সাহিত্যের সম্পদ হয়ে আছে। ভূতরাজ্যে তাদের গল্পচ্ছলে ভয় দেখানাে, রামায়ণ মহাভারতের পাঁচালী মুখস্থ করানাে এবং অবিরাম রক্তচক্ষু দেখিয়ে দাদাগিরি সব কিছু নিয়ে তাদের বিচিত্র জীবনকে তিনি দেখেছেন কৃতজ্ঞতার আন্তরিক মনােভাব নিয়ে। ভৃত্যদের কড়া শাসনে শিশু রবীন্দ্রনাথের ( Rabindranath Tagore ) ভিন্নমুখী হবার উপায় ছিল না। বরং এই শাসনের জগতে শিখেছিলেন বাধ্য হয়ে চলতে, কষ্টসহিষ্ণু হতে, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে। বাল্যস্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন –

“আমাদের এক চাকরছিল, তার নাম শ্যাম। শ্যামবর্ণ দোহারা বালক, মাথায় লম্বা চুল, খুলনা জেলায় তাহার বাড়ি। সে আমাকে ঘরের একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসাইয়া আমার চারিদিকে খড়ি দিয়া গণ্ডি কাটিয়া দিত। গম্ভীর মুখ করিয়া তর্জনী তুলিয়া বলিয়া যাইত, গন্ডির বাহিরে গেলেই বিষম বিপদ। বিপদটা আধি ভৌতিক কি আধি দৈবিক তাহা স্পষ্ট করিয়া বুঝিতাম না। কিন্তু মনে বড় আশঙ্কা হইত। গন্ডি পার হইয়া সীতার কি সর্বনাশ হইয়াছিল তাহা রামায়ণেই পড়িয়া ছিলাম; এই জন্য গন্ডিটাকে নিতান্ত অবিশ্বাসীর মতাে উড়াইয়া দিতে পারিতাম না। চাকরদের মহলে যে সকল বই প্রচলিত ছিল তাহা লইয়াই আমার সাহিত্য চর্চার সূত্রপাত হয়। তাহার মধ্যে চাণক্য শ্লোকের বাংলা অনুবাদ ও কৃত্তিবাস রামায়ণই প্রধান”।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর শিক্ষাজীবন: Rabindranath Tagore’s Educational Life

ভবিষ্যৎকালে বিশ্ব সাহিত্যের সবচেয়ে মূল্যবান আসনটি যিনি লাভ করবেন। এইভাবেই লালিত হয়েছিল তার প্রতিভা। বালক রবীন্দ্রনাথ ( Rabindranath Tagore ) কে বিদ্যাশিক্ষার জন্য প্রথমে পাঠানাে হয়েছিল ওরিয়েন্টাল সেমিনারীতে। পরে নর্ম্যাল স্কুল, বেঙ্গল একাডেমী, সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে পড়াশােনা করলেও স্কুলের পাঠ শেষ করতে পারেননি। স্কুলের বাঁধাধরা বন্ধন, শিক্ষকদের ব্যবহার এবং পরিবেশ কোন কিছুকেই তিনি মন থেকে মেনে নিতে পারেননি। এই জগৎ সম্বন্ধে পরিণত বয়সেও তার মনে ক্ষোভ ও অভিযােগ ছিল। প্রথাগত বিদ্যাশিক্ষা না হলেও গৃহশিক্ষকের কাছে তিনি ইতিহাস, ভূগােল, গণিত, সংস্কৃত এবং ইংরাজি ভাষা শেখেন। বিদ্যাশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গীত, অভিনয় ও অঙ্কন বিষয়েও তিনি শিক্ষা লাভ করেন। তার দুচোখে ছিল অপার আগ্রহ। পৃথিবীর সবকিছু জানার জন্য বােঝার জন্য তাঁর আকুলতা ও চেষ্টার বিরাম ছিল। প্রকৃতির পাঠশালায় তিনি ছিলেন একজন একনিষ্ঠ ছাত্র। এভাবেই তিনি দিনে দিনে পরিচিত হয়েছেন জগৎ ও জীবনের সঙ্গে। তার এই জানাই পরবর্তীকালে গান, কবিতায়, গল্পে, প্রবন্ধে, নাটকে, উপনাসে বাংলা সাহিত্যকে পরিপূর্ণ করে তুলেছে। নিতান্ত বাল্যবয়সেই দুটি ঈশ্বর স্তব লিখে পিতা দেবেন্দ্রনাথের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ( Rabindranath Tagore )। উৎসাহিত হয়ে অবিরাম চলতে থাকে তার কাব্যচর্চা। কাব্য – সাধনার ক্ষেত্রে প্রথম জীবনে দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ এবং তাঁর পত্নী কাদম্বরী দেবীর প্রভাবও ছিল যথেষ্ট। ‘হিন্দু মেলার উপহার ‘ কবিতা রবীন্দ্রনাথের ( Rabindranath Tagore ) নামে প্রথম প্রকাশিত হয় বাংলা 1821 সালের মাঘ মাসে। এর কয়েক বছর পরে সতের বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ( Rabindranath Tagore ) কে বিলেতে পাঠানাে হয় ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য। দেড় বছর পরে পিতার আদেশে দেশে ফিরে আসেন।

আরো পড়ুন: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর জীবনী

জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত হত ভারতী ও বালক পত্রিকা। এই দুই পত্রিকায়ই তিনি নিয়মিত লিখতেন। ভারতীর প্রথম সংখ্যায় তার প্রথম ছােটগল্প ভিখারিণী এবং প্রথম উপন্যাস করুণা প্রকাশিত হয়। ভুবনমােহিনী প্রতিভা রবীন্দ্রনাথের প্রথম গদ্য প্রবন্ধ, প্রকাশিত হয়েছিল জ্ঞানাঙ্কুর পত্রিকায়। মাত্র আঠারাে বছর বয়সের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথ রচনা করেন কবিকাহিনী, ভানুসিংহের পদাবলী, শৈশব সঙ্গীত ও রুদ্রচন্ড প্রভৃতি। রবীন্দ্রনাথের অভিনয় জীবনে হাতেখড়ি হয় বিলেত থেকে ফিরে আসার পর। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ রচিত মানময়ী নাটকে মদনের ভূমিকায় প্রথম অভিনয় করেন। এক বছর পরেই স্বরচিত বাল্মীকি প্রতিভানাটকে বাল্মীকির ভূমিকায় অভিনয় করে খ্যাতিলাভ করেন। 1882 খ্রিঃ রবীন্দ্রনাথ নিঝরের স্বপ্নভঙ্গ কবিতাটি রচনা করেন। সেই বছরেই সন্ধ্যাসঙ্গীত প্রকাশিত হলে বঙ্কিমচন্দ্র নিজের গলার মালা পরিয়ে দিয়ে কবিকে আশীর্বাদ করেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বিবাহ জীবন ও পরিবার: Rabindranath Tagore’s Marriage Life And Family

বাইশ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের বিয়ে হয় ভবতারিণী দেবীর সঙ্গে। বিয়ের পর কবি – পত্নীর নাম পরিবর্তিত হয় মৃণালিনী নামে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর কর্ম জীবন: Rabindranath Tagore’s Work Life

পরের বছরই পিতার নির্দেশে রবীন্দ্রনাথ জমিদারি দেখাশােনার কাজ আরম্ভ করলেন। এই সময় বৈষয়িক কাজে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে শিলাইদহ ও সাহাজাদাপুর পরিদর্শন করতে হয়। সুন্দর প্রকৃতির মুক্ত উদার সান্নিধ্য কবির অনেক রচনার প্রেরণা জুগিয়েছে। দেবেন্দ্রনাথ নির্জনে ঈশ্বর উপাসনার উদ্দেশ্যে বীরভূমের বােলপুরে কুড়িবিঘা জমি কিনেছিলেন। সময় এবং সুযােগমত এখানে এসে তিনি বসবাস করতেন। এখানেই রবীন্দ্রনাথ ব্রহ্মচর্য আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেন 1901 খ্রিঃ বর্তমানে যার পরিচয় শান্তিনিকেতন নামে। পরে এই প্রতিষ্ঠানই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। 1905 খ্রিঃ ব্রিটিশ সরকারের বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনার প্রতিবাদে এদেশে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন। রবীন্দ্রনাথ ও এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। দেশবাসীকে স্বদেশ চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল তার গান ও কবিতা । বঙ্গভঙ্গ প্রস্তাবের প্রতিবাদ আন্দোলন উপলক্ষেই তিনি রচনা করেন তার বিখ্যাত গান বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু বাংলার ফল পূর্ণ হউক, পূর্ণ হউক, পূর্ণ হউক হে ভগবান । 1905 খ্রিঃ 16 ই অক্টোবর রবীন্দ্রনাথ একটি শােভাযাত্রা পরিচালনা করেন এবং রাখী উৎসবের প্রচলন করেন।

আরো পড়ুন: মাইকেল মধুসূদন দত্ত ‘র জীবন পরিচয়

রবীন্দ্রনাথ রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত না থেকেও লেখায় ও বক্তৃতার মাধ্যমে অত্যাচারী ব্রিটিশ শাসকের কাজের প্রতিবাদ করে গেছেন। 1919 খ্রিঃ পাঞ্জাবের জালিয়ানওয়ালাবাগে যে নির্মম হত্যাকান্ড ব্রিটিশরা ঘটিয়েছিল রবীন্দ্রনাথ তার প্রতিবাদে সরকার প্রদত্ত নাইট উপাধি ত্যাগ করেন। 1912 খ্রিঃ রবীন্দ্রনাথ বিলাত যান। সেখানে ইংরাজ শিল্পী রােদেনস্টাইন তার গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরাজি অনুবাদ পড়ে মুগ্ধ হন। তার মাধ্যমে কবি মে সিনক্লেয়ার, এজরা পাউন্ড, ইয়েটস প্রভৃতি লেখকের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। ইতিমধ্যে গীতাঞ্জলির ইংরাজী অনুবাদ Offerings লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। লন্ডন থেকে রবীন্দ্রনাথ আমেরিকায় গিয়ে বিভিন্ন সভায় বক্তৃতা দেন এবং সেখানকার খ্যাতনামা ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচিত হন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর পুরস্কার ও সম্মান: Rabindranath Tagore’s Awards And Honors

1913 খ্রিঃ রবীন্দ্রনাথ দেশে ফিরে আসেন। সেই বছরই গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য সুইডেনের সাহিত্য পরিষদ রবীন্দ্রনাথকে নােবেল পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেন। এর আগে অপর কোন ভারতবাসী সাহিত্যকৃতির জন্য এই পুরস্কার লাভ করেনি। নােবেল পুরস্কার প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকবির মর্যাদায় ভূষিত হন। বাংলার তথা ভারতের হয়েও রবীন্দ্রনাথ হলেন বিশ্বমানবের একান্ত আপনার 1914 খ্রিঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথকে ডক্টরেট এবং পরের বছর সরকাব স্যার উপাধিতে ভূষিত করেন। সেই বছরই দেশভ্রমণে বেরিয়ে জাপান, চীন, ফ্রান্স, আমেরিকা প্রভৃতি দেশে যান। পরিচিত হন শিল্পরসিক বেনেদেত্তো ক্রোচ, মনীষী রমা রােলাঁ প্রভৃতি ব্যক্তিদের সঙ্গে। 1927 খ্রিঃ রবীন্দ্রনাথ দূরপ্রাচ্য এবং 1929 খ্রিঃ কানাডায় যান। 1930 খ্রিঃ শেষবারের মত বিদেশ ভ্রমণে গিয়ে ঘুরে আসেন ইউরােপ, আমেরিকার বিভিন্ন দেশ, রাশিয়া এবং পারস্য। এই বছরেই তিনি আমন্ত্রিত হয়ে অক্সফোর্ডে হিউপার্ট বক্তৃতায় মানুষের ধর্ম বা Religion of Man বক্তৃতা দেন। প্যারিস ও বার্লিনে প্রদর্শিত হয় তার শেষ বয়সের প্রিয়া নামক ছবির প্রদর্শনী। পরিচিত হন বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের সঙ্গে। কবি সিংহলে শেষবার গেলেন 1934 খ্রিঃ। শান্তিনিকেতনে যে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার জন্য অর্থসমস্যা রবীন্দ্রনাথকে পীড়িত করত। দেশবিদেশ থেকে সংগৃহীত অর্থ তিনি এখানকার উন্নতির জন্যই ব্যয় করতেন।এই প্রতিষ্ঠানের অর্থসংগ্রহের জন্য বৃদ্ধ বয়সেও তিনি ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সারা দেশে নৃত্যনাট্য দেখিয়ে অর্থসংগ্রহ করেছেন। এই সময় তার স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে গান্ধীজি 1966 খ্রিঃ তাঁকে 60 হাজার টাকা সাহায্য করেন।

আরো পড়ুন: মহর্ষি বাল্মীকির জীবন পরিচয়

সত্তর বছর বয়সে কবিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সভায় কবি বলেন, একটি মাত্র পরিচয় আমার আছে, সে আর কিছু নয়। আমি কবিমাত্র। এই উপলক্ষে কবিকে The Golden Book of Tagore নামে এক দুর্লভ রচনা সম্বলিত গ্রন্থ উপহার দেওয়া হয়। 1937 খ্রিঃ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে ভাষণ দিতে আহূত হয়ে রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষায় বক্তৃতা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় তাকে পুনরায় ডি – লিট উপাধিতে ভূষিত করেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় 1940 খ্রিঃ শান্তিনিকেতনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কবিকে ডক্টরেট উপাধি প্রদান করেন। পৃথিবীর মানুষের কাছে এই তার শেষ সম্মানলাভ। 1941 খ্রিঃ তার শেষ জন্মদিনে পাঠ করলেন সভ্যতার সংকট প্রবন্ধ।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর মৃত্যু: Rabindranath Tagore’s Death

অবশেষে 1941 খ্রিঃ 7 ই আগস্ট মাঘের সূর্য গেল উত্তরায়ণে। অজস্র উপন্যাস, কবিতা, গান, নাটক, ছােটগল্প, প্রবন্ধ, গীতিনাট্য, রম্যরচনা, চিঠি এবং ছবির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথের কাব্য সাধনার একটি মাত্র পালা ছিল তা হল সীমার সঙ্গে অসীমের মিলন সাধনের পালা। তিনিই একমাত্র কবি যাঁর দুটি গান ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতরূপে গৃহীত হয়েছে।

Share this:

  • Click to share on WhatsApp (Opens in new window)
  • Click to share on Facebook (Opens in new window)
  • Click to share on Telegram (Opens in new window)
  • Click to share on Twitter (Opens in new window)
  • Click to share on Pinterest (Opens in new window)
  • Click to print (Opens in new window)

Leave a Reply Cancel reply

নতুন চাকরির খবর.

SSC Staff Recruitment 2024

এসএসসির মাধ্যমে প্রচুর কর্মী নিয়োগ 2024 | SSC Staff Recruitment 2024

Upper Division Clerk Recruitment 2024

আপার ডিভিশন ক্লার্ক নিয়োগ 2024 | Upper Division Clerk Recruitment 2024

AI Airport Services Limited Recruitment 2024

মাধ্যমিক পাশে এয়ারপোর্টে কর্মী নিয়োগ 2024 | AI Airport Services Limited...

South East Central Railway Recruitment 2024

দক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেলে অ্যাক্ট অ্যাপ্রেন্টিস নিয়োগ 2024 | South East...

Kolkata Metro Rail Accounts Recruitment 2024

কলকাতা মেট্রো রেলে অ্যাকাউন্ট নিয়োগ 2024 | Kolkata Metro Rail Accounts...

উইন্ডিজদের বিপক্ষে সিরিজ জয় করতে মরিয়া ভারত, ৩য় ওডিআইতে আসতে পারে..., বিদ্যুৎ দপ্তরে কর্মী নিয়োগ | power grid corporation of india limited....

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী|Rabindranath tagore biography in bengali

rabindranath-tagore biography

আপনি কি মহান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী সম্পর্কে জানতে চান? সুন্দর, আপনি ইন্টারনেটের উপলব্ধ সেরা সম্পদ গুলির একটিতে এসেছেন.

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী

বাংলা সাহিত্য জগতে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনীর সম্পর্কে জানব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রচনা করেছিলেন এবং সাহিত্যের জন্য নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন, তিনি প্রতিটি অর্থেই একজন বহুমুখী ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন বাঙালি কবি , ব্রাহ্মসমাজ দার্শনিক, ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, চিত্রকর এবং একজন সুরকার । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাংস্কৃতিক সংস্কারকও ছিলেন যিনি বাংলা শিল্পকে ভারতীয় ও বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছিল। যদিও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বহুমুখী ছিলেন, তাঁর সাহিত্যকর্মই তাঁকে সর্বকালের সেরাদের অভিজাত তালিকায় স্থান দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। আজও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কাব্য ও গানের জন্য স্মরণ করা হয়।

 ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ  করেন ও নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্ত প্রথম বাঙালি হন। জনগণ মন (ভারতের জাতীয় সঙ্গীত) ছাড়াও, তাঁর রচনা ‘আমার সোনার বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হয়েছিল এবং শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত তাঁর একটি রচনা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল।

Rabindranath tagore biography in bengali Content











বিবাহ জীবন

পেয়েছিলেন


বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত পরিচয়

নামরবীন্দ্রনাথ_ঠাকুর
পিতাদেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর 
মাতাসারদা দেবী
ছদ্মনামভানুসিংহ
দাম্পত্যসঙ্গীমৃণালিনী দেবী
জন্মতারিখ১৯৪১ সালে ২৫ বৈশাখ
জন্মস্থানকলকাতার জোড়াসাঁকো
কে ছিলেনবাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক
বিখ্যাত রচনাবলিগীতাঞ্জলি (১৯১০), রবীন্দ্র রচনাবলী, গোরা, আমার সোনার বাংলা, জনগণমন, ঘরে-বাইরে
বিখ্যাত পুরস্কারসাহিত্যে নোবেল পুরস্কার (১৯১৩)
বিশ্ববিদ্যালয়প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজ ( Calcutta )
জাতীয়তাব্রিটিশ ভারতীয়
ধর্মহিন্দু ধর্ম
জাতিবাঙালি
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারতীয়
মৃত্যু৭ আগস্ট ১৯৪১

আরো পড়ুন – স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটবেলা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ই মে কলকাতার জোড়াসাঁকো প্রাসাদে ঠাকুর পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন| তেরো সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন কনিষ্ঠ পুত্র। যদিও ঠাকুর পরিবারের অনেক সদস্য ছিল, তবে তিনি বেশিরভাগই চাকর এবং দাসী দ্বারা লালিত-পালিত হন কারণ তিনি খুব অল্প বয়সে তার মাকে (সারদা দেবী) হারিয়েছিলেন এবং তার বাবা একজন বিস্তৃত ভ্রমণকারী ছিলেন। ৮ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা লিখতে শুরু কারণে। এবং ষোল বছর বয়সে তিনি ভানুসিংহ ছদ্মনামে কবিতা প্রকাশ করতে থাকেন। এছাড়াও তিনি ১৮৭৭ সালে ছোটগল্প ‘ভিখারিণী’ এবং ১৮৮২ সালে সন্ধ্যাসঙ্গীত’ কাব্য সংকলন রচনা করেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা জীবন

রবীন্দ্রনাথ কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, নর্ম্যাল স্কুল, বেঙ্গল অ্যাকাডেমি এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে কিছুদিন করে পড়াশোনা করেছিলেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্কুলের শিক্ষা ভালো না লাগায় বাড়িতেই গৃহশিক্ষক রেখে তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

ইংল্যান্ডের পূর্ব সাসেক্সের ব্রাইটনে একটি পাবলিক স্কুলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহ্যগত শিক্ষা শুরু হয়। 1878 সালে তাকে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়েছিল কারণ তার বাবা তাকে ব্যারিস্টার করতে চেয়েছিলেন। ইংল্যান্ডে থাকার সময় তাকে সমর্থন করার জন্য পরবর্তীতে তার কিছু আত্মীয় যেমন তার ভাগ্নে, ভাগ্নি এবং ভগ্নিপতির সাথে যোগ দেন।

রবীন্দ্রনাথ সর্বদা আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকে অবজ্ঞা করতেন এবং তাই তাঁর স্কুল থেকে শেখার আগ্রহ দেখা যায়নি। পরে তিনি লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজে ভর্তি হন, যেখানে তাকে আইন শিখতে বলা হয়। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যচর্চ্চার আকর্ষণে সেই পড়াশোনা তিনি শেষ করতে পারেননি| এবং নিজে থেকেই শেক্সপিয়রের বেশ কিছু কাজ শিখে নেন। ইংরেজি, আইরিশ এবং স্কটিশ সাহিত্য ও সঙ্গীতের সারমর্ম শেখার পর, তিনি ভারতে ফিরে আসেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মজীবন

rabindranath thagore worklife 1

তিনি ১৯ এবং ২০ শতকের প্রথম দিকে বাংলা সাহিত্য, সঙ্গীত এবং সেইসাথে ভারতীয় শিল্পকে প্রাসঙ্গিক আধুনিকতার সাথে পুনর্নির্মাণ করেছিলেন।

১৯১৩ সালে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম অ-ইউরোপীয় এবং সেইসাথে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রথম গীতিকার হয়ে ওঠেন। তাঁর কাব্য ও গানগুলিকে বেশিরভাগ শ্রোতা আধ্যাত্মিক এবং পারদর্শী হিসাবে দেখেছিলেন।

যাইহোক, ঠাকুরের “মার্জিত গদ্য ও জাদুকরী কবিতা” বাংলার বাইরে অজানা ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কখনো কখনো “বাংলার বার্ড”ও বলা হয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেশিরভাগই তাঁর কবিতার জন্য পরিচিত ছিলেন, এছাড়াও তিনি প্রবন্ধ, উপন্যাস, ছোট গল্প, নাটক, গান এবং ভ্রমণকাহিনীও লিখেছেন। সর্বোপরি, তাঁর ছোটগল্পগুলি সম্ভবত অত্যন্ত সমাদৃত। তাঁর কাজগুলি ছন্দময়, আশাবাদী এবং গীতিধর্মী প্রকৃতিরও বলা হয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নাটক

১৬ বছর বয়সে, ঠাকুর তার বড় ভাই জ্যোতিরিন্দ্রনাথের সাথে নাটকের সাথে তার অভিজ্ঞতা শুরু করেছিলেন।

‘বাল্মীকি প্রতিভা’ নামে তাঁর প্রথম নাটকীয় কাজটি তিনি ২০ বছর বয়সে লিখেছিলেন, যা তাঁর প্রাসাদে দেখানো হয়েছে। ঠাকুরের কাজের উদ্দেশ্য ছিল অনুভূতির খেলা, কর্মের নয়। ১৮৯০ সালে রচিত ‘বিসর্জন’ তাঁর শ্রেষ্ঠ নাটক।

  • বাল্মীকিপ্রতিভা
  • মায়ার খেলা
  • প্রায়শ্চিত্ত
  • বসন্ত (গীতিনাট্য-কাজী নজরুলকে উৎসর্গ করেন)
  • চিরকুমার সভা

এছাড়াও আরও অনেক নাটক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গদ্য শৈলীতে লেখার একটি বিশেষ স্বতন্ত্র স্টাইল ছিল, আসলে কবিতা শৈলীতে লেখার চেয়ে। ঠাকুর তাঁর বাংলা কবিতাকে পদ্য কবিতা থেকে গদ্য কবিতায় অনুবাদ করেছিলেন, যা প্রতিটি কবিতার স্টাইল এবং বিষয়বস্তুকে আমূল পরিবর্তন করেছিল।

কাব্যগ্রন্থ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্প

নাটকের মতো, ছোটগল্পে ঠাকুরের কর্মজীবনও শুরু হয়েছিল যখন তিনি 16 বছর বয়সে। তিনি ‘ভিখারিণী’ নামে একটি ছোট গল্প দিয়ে শুরু করেছিলেন, যা দিয়ে তিনি কার্যকরভাবে বাংলা ভাষার ছোটগল্পের ধারা আবিষ্কার করেছিলেন।

 “কঙ্কাল”, “নিশীথে”, “মণিহারা”, “ক্ষুধিত পাষাণ”, “স্ত্রীর পত্র”, “নষ্টনীড়”, “কাবুলিওয়ালা”, “হৈমন্তী”, “দেনাপাওনা”, “মুসলমানীর গল্প” ইত্যাদি।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান ‘রবীন্দ সঙ্গীত’ অর্থাৎ ‘ঠাকুরের গান’ নামে সুপরিচিত। ঠাকুর প্রায় ২২৩০ টি গান রচনা করেছিলেন যা তাঁর সাহিত্যে তরলতাকে একত্রিত করেছিল।

তাঁর বেশিরভাগ গান ছিল হিন্দুস্তানি সঙ্গীতের ঠুমরি শৈলীর, এবং সেগুলিতে প্রচুর মানবিক আবেগ ছিল, ভক্তিমূলক স্তোত্র থেকে শুরু করে আধা-কামোত্তেজক রচনা পর্যন্ত।

ঠাকুর “জন গণ মন”ও লিখেছিলেন যা ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হয়েছিল, 1950 সালে, ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের গণপরিষদ দ্বারা। এই গানটি ‘শধু-ভাষা’-এ রচিত হয়েছিল, যা বাংলা ভাষার একটি সংস্কৃত রূপ।

আমার সোনার বাংলা’ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হয়ে ওঠে, যা ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রচিত হয়েছিল।

এছাড়াও, শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীতও ঠাকুরের কাজ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মোট তেরোটি উপন্যাস রচনা করেছিলেন। এগুলি হল-

  • বৌ-ঠাকুরাণীর হাট
  • প্রজাপতির নির্বন্ধ
  • শেষের কবিতা
  • চার অধ্যায়

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্রকলা

‘রবীন্দ্র চিত্রকলা জগতের অভিনব সৃষ্টি- অনন্য সাধারণ। তাঁর চিত্রকলা একান্তরূপে তাঁর নিজস্ব, তাঁর ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যের দ্বারা চিহ্নিত। এ চিত্রকলার হুবহু অনুকরণ কারো পক্ষেই যেমন সম্ভবপর নয়, তেমনি মনের মতো করে সমুচিত ব্যাখ্যা দেওয়াও অসম্ভব। কোনো কলা সমালোচক যে একে কোনো বিশিষ্ট কলারীতির অন্তর্ভুক্ত করে দেখাবেন কিংবা তাঁর নিজস্ব কোনো ধরাবাধা তত্ত্বের সঙ্গে মিলিয়ে এর ব্যাখ্যা দেবেন তারও কোনো সম্ভাবনা নেই।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিবাহ জীবন

ঠাকুর 1883 সালে মৃণালিনীকে বিয়ে করেন। 19 বছরের ব্যবধানে। ধারণা করা হয় যে তিনি বিবাহিত জীবনেও ঘনিষ্ঠ সাহচর্য চেয়েছিলেন। একটি চিঠিতে, তিনি একবার তার স্ত্রীকে লিখেছিলেন, “আপনি এবং আমি যদি আমাদের সমস্ত কাজে এবং আমাদের সমস্ত চিন্তাভাবনায় কমরেড হতে পারি তবে এটি দুর্দান্ত হবে, তবে আমরা যা চাই তা অর্জন করতে পারি না”।

তাদের সম্পর্ককে ভিন্নভাবে চিত্রিত করা হয়েছে। যদিও কিছু জীবনীকার অনুমান করেন যে রবীন্দ্রনাথ তার যত্ন সহকারে দেখেছিলেন কিন্তু তার মৃত্যুতে শোকও করেননি, অন্যরা তাদের সম্পর্ককে যত্নশীল এবং কোমল বলে বর্ণনা করেছেন। তাদের একসঙ্গে পাঁচটি সন্তান ছিল।

মৃণালিনী দেবী 1902 সালে অসুস্থ হয়ে পড়েন, যখন পরিবার শান্তিনিকেতনে একসাথে থাকতেন। কলকাতার চিকিৎসকরা তার অসুস্থতা নির্ণয় করতে পারেননি। তার ছেলে রথীন্দ্রনাথ পরে অনুমান করেছিলেন যে তার মায়ের অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছিল। তিন মাস পর, তিনি 23 নভেম্বর 1902 সালে 29 বছর বয়সে মারা যান। রবীন্দ্রনাথ আর বিয়ে করেননি।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্ব ভ্রমণ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বারোটি অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করেছিলেন। ১৮৭৮ থেকে ১৯৩২ সালের মধ্যে তিনি পাঁচটি মহাদেশের ত্রিশটিরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছিলেন।

তিনি তার জীবনে দুইবার ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন। ১৯১২ সালে ব্যক্তিগত চিকিৎসার জন্য ইংল্যান্ডে তৃতীয়বারের মতো ইয়েটসের মতো কয়েকজন ইংরেজ কবি ও বুদ্ধিজীবী ছিলেন, যাদেরকে সম্প্রতি গীতাঞ্জলির ইংরেজি ভাষায় সম্মানিত করা হয়েছে তিনিও কবিতাগুলো দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। ইয়েটস নিজেই কবিতাটির ইংরেজি অনুবাদের ভূমিকা লিখেছেন। এই সফরে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পরিচয় হয় ‘দ্বীনবন্ধু’ চার্লস ফ্রায়ার অ্যান্ড্রুজের সঙ্গে।

১৯১৩ সালে সুইডিশ একাডেমি তাকে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করে। ১৯১৬-১৭ সালে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন এই বক্তৃতাগুলি তাঁর জাতীয়তাবাদে সংকলিত হয়েছিল তবে, এই দুটি দেশে সফরের সময় জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।

১৯২০-২১ সাল নাগাদ কবি আবার ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করেন। এই সফরে তাকে পশ্চিমা দেশগুলোতে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রবীন্দ্রনাথ ১৯২৪ সালে চীনে যান। তারপর তিনি জাপানে যান এবং সেখানে জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী বক্তৃতা দিতে যান।

১৯২৪ সালের শেষ দিকে পেরু সরকারের আমন্ত্রণে তিনি আর্জেন্টিনায় অসুস্থ হয়ে তিন মাস আতিথেয়তায় কাটান, ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো। তিনি পেরুতে ভ্রমণ স্থগিত করেছেন। তারপর পেরু এবং মেক্সিকো উভয়ের সরকার, বিশ্বভারতী, ১,০০,০ মার্কিন ডলারের তহবিল প্রদান করে।

1926 সালে, বেনিটো মুসোলিনির আমন্ত্রণে ঠাকুর ইতালিতে যান। প্রথমদিকে মুসোলিনির আতিথেয়তায় মুগ্ধ হলেও, প্রবীণরা একনায়ককে চিনতেন, মুসোলিনি কবির অভিনয়ের সমালোচনা করেছিলেন। এর ফলে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর রবীন্দ্রনাথ গ্রিস, তুরস্ক ও মিশর ভ্রমণ করে ভারতে ফিরে আসেন।

rabindranath

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি কি পুরষ্কার পেয়েছিলেন

  • ১৯৪০ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যাল)য় তাঁকে শান্তিনিকেতনে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে “ডক্টরেট অব লিটারেচার” সন্মানে ভূষিত করে ।
  • বিদেশে তাঁর রচিত গীতাঞ্জলী কাব্য, বিশেষ জনপ্রিয়তা পায় । সেই সুবাদে তাঁকে ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দিয়ে সন্মানিত করা হয় ।
  • ১৯১৫ সালে তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক নাইট উপাধি পান । কিন্তু ১৯১৯ সালে ঘটে যাওয়া জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের পর তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন ।
  • ১৯৩০ সালে রবীন্দ্রনাথের আঁকা একটা ছবি, প্যারিস ও লন্ডনে প্রদর্শিত হয় ।
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাপানের ডার্টিংটন হল স্কুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ।
  • ৭ই মে ১৯৬১ সালে, ভারতীয় ডাকবিভাগ সম্মান জ্ঞাপনের উদেশ্যে; তাঁর ছবি দেওয়া একটা ডাক টিকিট প্রকাশ করে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম

  • আন্নাকালী পাকড়াশী
  • অকপটচন্দ্র লস্কর
  • দিকশূন্য ভট্টাচার্য 
  • নবীন কিশোর শর্মণ
  • বাণীবিনোদ বিদ্যাবিনোদ
  • শ্রীমতী কনিষ্ঠা
  • শ্রীমতী মধ্যমা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যু

১৯৩৭ সালের শেষের দিকে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চেতনা হারাতে শুরু করেন এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য কোমায় ছিলেন। ১৯৪০ সালে, ঠাকুর আবার কোমায় চলে যান এবং আর সুস্থ হননি। দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা এবং দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার পর, ঠাকুর ৪০ বছর বয়সে ৭ আগস্ট, ১৯৪১ তারিখে মারা যান। যে প্রাসাদে লালিত-পালিত হয়েছিলেন সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উত্তরাধিকার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পাঠকদের মনে চিরন্তন ছাপ রেখেছিলেন বলে বাংলা সাহিত্যকে বোঝার উপায় পরিবর্তন করেছিলেন।

কিংবদন্তি লেখককে শ্রদ্ধা জানাতে অনেক দেশে তার মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে এবং বার্ষিক অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অনেক বিখ্যাত আন্তর্জাতিক লেখকদের দ্বারা অনুবাদের একটি হোস্টের জন্য ধন্যবাদ, তার অনেক কাজ বিশ্বব্যাপী তৈরি করা হয়েছে।

এখানে ঠাকুরকে নিবেদিত পাঁচটি জাদুঘর রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ভারতে অবস্থিত হলেও বাকি দুটি বাংলাদেশে। জাদুঘর তার বিখ্যাত কাজ, এবং প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ দ্বারা পরিদর্শন করা হয়.

আশাকরি রবীন্দ্রনাথ-ঠাকুর-এর-জীবনী আপনাদের ভাল লেগেছে

ভালো লেগে থাকলে আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন |যদি কিছু সাজেশন থাকে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন

রবীন্দ্রনাথ-ঠাকুর FAQ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পিতা নাম কি?

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর,

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত বছর বয়সে মারা যান?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা শেষ কবিতা কোনটি.

আপন আলোকে ধৌত অন্তরে অন্তরে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা প্রথম ছোট গল্পের নাম কি?

রবীন্দ্রনাথের দুই ছেলের নাম কি.

রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথের ছেলে মেয়ে কত জন?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রীর নাম কি.

মৃণালিনী দেবী

8 thoughts on “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী|Rabindranath tagore biography in bengali”

  • Pingback: রবীন্দ্রনাথ-বন্ধুত্বের বাণী-Friendship quotes in bengali
  • Pingback: সত্যজিৎ রায় Biography-Satyajit Ray Biography in Bengali
  • Pingback: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু Biography in Bengali
  • Pingback: স্বামী বিবেকানন্দ Biography -Swami Vivekananda Biography in Bengali
  • Pingback: রবীন্দ্রনাথের সেরা গানের বাণী ও উক্তি Rabindranath Thakur Song Quotes in bengali bengalilipi
  • Pingback: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাণী| Rabindranath Tagore Quotes in Bengali
  • Pingback: আলবার্ট আইনস্টাইনের বায়োগ্রাফি: Albert Einstein Biography In Bengali - bengalilipi
  • Pingback: শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের বায়োগ্রাফি - Sri Ramakrishna Biography In Bengali

Leave a Comment Cancel reply

Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.

Encyclopedia Britannica

  • History & Society
  • Science & Tech
  • Biographies
  • Animals & Nature
  • Geography & Travel
  • Arts & Culture
  • Games & Quizzes
  • On This Day
  • One Good Fact
  • New Articles
  • Lifestyles & Social Issues
  • Philosophy & Religion
  • Politics, Law & Government
  • World History
  • Health & Medicine
  • Browse Biographies
  • Birds, Reptiles & Other Vertebrates
  • Bugs, Mollusks & Other Invertebrates
  • Environment
  • Fossils & Geologic Time
  • Entertainment & Pop Culture
  • Sports & Recreation
  • Visual Arts
  • Demystified
  • Image Galleries
  • Infographics
  • Top Questions
  • Britannica Kids
  • Saving Earth
  • Space Next 50
  • Student Center

Rabindranath Tagore

Who was Rabindranath Tagore?

  • What are the oldest known civilizations of India?
  • What are the major holidays and festivals of India?

poem. A poet in a Heian period kimono writes Japanese poetry during the Kamo Kyokusui No En Ancient Festival at Jonan-gu shrine on April 29, 2013 in Kyoto, Japan. Festival of Kyokusui-no Utage orignated in 1,182, party Heian era (794-1192).

Rabindranath Tagore

Our editors will review what you’ve submitted and determine whether to revise the article.

  • Victoria and Albert Museum - Rabindranath Tagore: Poet And Painter
  • Cultural India - Biography of Rabindranath Tagore
  • Poetry Foundation - Rabindranath Tagore
  • The Nobel Prize - Biography of Rabindranath Tagore
  • Poet.org - Biography of Rabindranath Tagore
  • IndiaNetzone - Rabindranath as a Poet
  • Rabindranath Tagore - Student Encyclopedia (Ages 11 and up)

Rabindranath Tagore was a Bengali poet , short-story writer, song composer, playwright, and painter. He introduced new prose and verse forms and the use of colloquial language into  Bengali literature , helped introduce Indian culture to the West and vice versa, and is generally regarded as the outstanding creative artist of early 20th-century  India .

What did Rabindranath Tagore write?

Rabindranath Tagore published several poetry collections, notably Manasi  (1890),  Sonar Tari  (1894;  The Golden Boat ), and Gitanjali  (1910); plays, notably  Chitrangada (1892;  Chitra ); and novels, including Gora  (1910) and  Ghare-Baire  (1916). He also wrote some 2,000 songs , which achieved considerable popularity among all classes of Bengali society.

What awards did Rabindranath Tagore win?

In 1913 Rabindranath Tagore became the first non-European to receive the  Nobel Prize for Literature . Tagore was awarded a knighthood in 1915, but he repudiated it in 1919 as a protest against the  Amritsar (Jallianwala Bagh) Massacre .

Rabindranath Tagore (born May 7, 1861, Calcutta [now Kolkata], India—died August 7, 1941, Calcutta) was a Bengali poet, short-story writer, song composer, playwright, essayist, and painter who introduced new prose and verse forms and the use of colloquial language into Bengali literature , thereby freeing it from traditional models based on classical Sanskrit . He was highly influential in introducing Indian culture to the West and vice versa, and he is generally regarded as the outstanding creative artist of early 20th-century India . In 1913 he became the first non-European to receive the Nobel Prize for Literature .

The son of the religious reformer Debendranath Tagore , he early began to write verses, and, after incomplete studies in England in the late 1870s, he returned to India. There he published several books of poetry in the 1880s and completed Manasi (1890), a collection that marks the maturing of his genius. It contains some of his best-known poems, including many in verse forms new to Bengali , as well as some social and political satire that was critical of his fellow Bengalis.

Rabindranath Tagore

In 1891 Tagore went to East Bengal (now in Bangladesh) to manage his family’s estates at Shilaidah and Shazadpur for 10 years. There he often stayed in a houseboat on the Padma River (the main channel of the Ganges River ), in close contact with village folk, and his sympathy for them became the keynote of much of his later writing. Most of his finest short stories, which examine “humble lives and their small miseries,” date from the 1890s and have a poignancy, laced with gentle irony , that is unique to him (though admirably captured by the director Satyajit Ray in later film adaptations). Tagore came to love the Bengali countryside, most of all the Padma River, an often-repeated image in his verse. During these years he published several poetry collections, notably Sonar Tari (1894; The Golden Boat ), and plays, notably Chitrangada (1892; Chitra ). Tagore’s poems are virtually untranslatable, as are his more than 2,000 songs, which achieved considerable popularity among all classes of Bengali society.

Rabindranath Tagore at Shantiniketan

In 1901 Tagore founded an experimental school in rural West Bengal at Shantiniketan (“Abode of Peace”), where he sought to blend the best in the Indian and Western traditions. He settled permanently at the school, which became Visva-Bharati University in 1921. Years of sadness arising from the deaths of his wife and two children between 1902 and 1907 are reflected in his later poetry, which was introduced to the West in Gitanjali (Song Offerings) (1912). This book, containing Tagore’s English prose translations of religious poems from several of his Bengali verse collections, including Gitanjali (1910), was hailed by W.B. Yeats and André Gide and won him the Nobel Prize in 1913. Tagore was awarded a knighthood in 1915, but he repudiated it in 1919 as a protest against the Amritsar (Jallianwalla Bagh) Massacre .

Rabindranath Tagore

From 1912 Tagore spent long periods out of India, lecturing and reading from his work in Europe , the Americas, and East Asia and becoming an eloquent spokesperson for the cause of Indian independence. Tagore’s novels in Bengali are less well known than his poems and short stories; they include Gora (1910) and Ghare-Baire (1916), translated into English as Gora and The Home and the World , respectively. In the late 1920s, when he was in his 60s, Tagore took up painting and produced works that won him a place among India’s foremost contemporary artists.

Different Truths

A Global Participatory Social Journalism Platform

Excerpt: A Bengali Biography of Rabindranath Tagore by His Son

Avatar photo

Rathindranath  Tagore’s  Bengali biography of Rabindranath Tagore is an empathic and nuanced portrait of his father, creating a portrait of his life and fortune — an excerpt from Chaitali’s translation  – an excl usive Special Feature on Tagore’s birth anniversary for Different Truths.

‘ Pitrismriti’  (Publication date: 1960), written by Rathindranath Thakur (1888-1961), the eldest son of the poet laureate Rabindranath Thakur (Tagore), is a Bengali biography of Rabindranath Tagore. It is a well-paced, finely-honed narrative chronicling the details of Rabindranath’s life. Written with humility and full of historical and personal anecdotes, in this memoir, Rathindranath speaks about his brilliant father, acknowledging his life and fortune in a narrative that is both empathic and nuanced. His narrative alternates between heartfelt nostalgia and intimate ruminations, enabling him to impressively create an unvarnished portrait of the poet, his father. The book is relevant for the insider’s glimpse into the times of the Tagores.

An Excerpt from the Memoir  Pitrismriti

Baba named our houseboat  Padma . The name reflected the love he had for the river Padma. The boat was closely associated withShilaidaha, located at the estuary of the  Padma  and  Gorai  rivers. Although it was my father’s favourite boat, our family, too, have a close association with the Padma boat. So, many things will remain incomplete if I don’t talk about it.

The boat carried a history of its own.

The boat carried a history of its own. Most likely, it was built in Dhaka as commissioned by my great-grandfather Dwarakanath Tagore. Its structure was like that of a barrow, although a bit larger. The rooms were very spacious and as comfortable as the rooms in our home. At first, the boat remained moored on the banks of the Ganges in Calcutta. Maharshi Debendranath, my grandfather, travelled in this houseboat. As mentioned in his autobiography, it was with this boat that he left for Varanasi in 1846. When the news of his father’s death in London reached him, he was on his way to Varanasi. Hearing the news, he turned the boat around and came to Calcutta. When the Maharshi no longer used the boat, it was kept at Shilaidaha.

Before the railways, boats were the standard means of travel, especially in Bengal, where there was no dearth of rivers and canals. Landlords and well-off businessmen kept many types of boats. They used to have  bajrah , pleasure boats for their use. These boats were rather wide in structure and flat-bottomed. This enabled the boats to break water and move forward, even in the shallow rivers. Usually, the  bajrahs  consisted of two rooms fitted with all the amenities. It was customary to get them made by the craftsmen in Dhaka; they’re masters in this profession! Once the steam engines came, waterways’ use decreased, and boats’ utility also disappeared.  Bajrahs  are rarely seen on the rivers these days!

Baba’s  favourite boat was the  Padma  boat, and he loved spending time on it.

Baba’s favourite boat was the  Padma  boat, and he loved spending time on it. He liked living on a boat more than living at home, probably because on a boat, he found solitude, an opportunity to think and write like nowhere else. Apart from that, he could travel on the river as he wished. The ever-changing environment stimulated his imagination. Whenever he wanted complete seclusion, he requested his officials at Shilaidaha not to disturb him. Many times, he would travel aimlessly to places, using the riverways where no one could access him easily. Such lonely solitude was all he needed. He derived much solace from the ever-flowing  Padma  on one side, flanked by the sand banks, where on the horizon, far beyond the border of the river, the forest hugged the earth. His only companion in those days was the wild calls of the fowls.

Baba’s literary admirers must agree with Padma Boat’s vast contribution to his literary pursuits! The first youthful years of his life were spent in the seclusion of Seilaidaha. Later, he was obliged to stay amidst the crowd of Santiniketan. The mellow greenery in Seilaidaha and the drab greyness of Santiniketan were poles apart. The Padma in Seilaidaha, the gleaming sand banks, the deeply peaceful, evergreen Nature – the poet in him found his creative abode here.

On the other hand, he had to juggle Santiniketan and Calcutta for his work. I wonder: In his old age, did his mind not crave to be back into the lap of rural Bengal, where the river breathed under the layers of clouds, where the golden crops beside the desolate sand banks waved in the breeze, where nature dissolved into a mirage and reached its climax?

Inspite of  Ma’s  unwillingness, Baba started taking me with him on his various river trips.

Inspite of Ma’s unwillingness, Baba started taking me with him on his various river trips. I was young at that time. Being with him, I learned how he spent his days on the boat. I also experienced some adventurous moments on these boat trips.

I just wanted to remind you of a particular incident in this context. I believe it happened on my first trip with him on the boat – or probably the next time.

It was evening. Baba and I were sitting on the top deck of the boat. He sat very close to the deck, overlooking the river, when suddenly one of his favourite slippers, dangling from his feet, fell into the water. The sun, by then, had set, spreading the golden rays on the waters of  Padma . Hearing a splash sound, I saw Baba plunging into the river to rescue his favourite slipper. By then, the strong currents had floated it far away. Baba tried to fetch it. After a long time, he came up, holding the slipper in his hand and sporting a smile of deep contentment.

This childhood memory is vivid in my mind. I could also never forget the expression of deep satisfaction flushing Baba’s face!

The first time I accompanied him, we stayed in a boat on the  Gorai  River.

For me, living on a boat was a new experience…

Living on a boat was a new experience, and I stepped on the ship with much trepidation. But the fear vanished as we entered the houseboat. It felt almost like being at home. After having a delicious meal with rice and  hilsa  fish curry, Baba sat down to write. At the same time, I went to the other room and watched with intense curiosity the busy movement of the boats on the river and the interaction of the crowd at the  ghats .

Baba was on an estate tour and had travelled to Kushtia to inspect the work of the ‘ Tagore & Co.  company. He was quite efficient in managing these tasks, and after finishing his job, he almost certainly went back to writing. When he wasn’t writing, most of the time, we sat in silence, watching in amazement the innumerable sights on the river in the descending light of evening.

As the vibrant glow of sunset spread across the western sky, the fishermen’s canoes drifted in the stream at a languid pace. Sometimes the fishermen would row the canoes, breaking into a  bhatiyali  song, the traditional song of the boatmen. Their songs would rise and fall in complete sync with the rhythm of the flowing water. Gradually the inky darkness suffused the surroundings, and the tunes of the boatmen’s song faded into it. One by one, the stars came up in the sky while the sound of the brass bells from the temple on the other side floated across the water. With deepening darkness, our old cook Phatik announced that dinner was served. I ate his monotonous dishes and retired to bed while Baba lit the lamp and sat with his books and note copies.

Books were  Baba’s  constant companion, irrespective of where he travelled.

Books were Baba’s constant companion, irrespective of where he travelled. He always carried a small library that included books by foreign authors like Goethe, Turgenev, Balzac, Maupassant, and Walt Whitman, together with a few of his Sanskrit books. Apart from literature, he loved to read thick books on astronomy, anthropology, and the history of linguistics.

Baba’s early years were closely connected with the  Padma  houseboat. Most of the poems, stories, and essays he penned at the time were written in this boat’s cabin. When the milling crowd of people and the world’s complexity tormented him, he got absolute peace, retreating to the seclusion of Padma River and this houseboat. The boat took him into the deeper heart of rural Bengal. It comforted him; he returned it by giving it a permanent place in his literature.

In his book, he wrote: ‘ It feels like my home, where I ‘m  the master.   Here no one holds the right over me or my time. I’m allowed   to think, write, and i mag ine as I wish.   I can stare at the flowing river for uninterrupted hours, immersing myself completely in the bright, lazy day filled with the sky above. Padma is very  d ear to me; just as the mythical elephant Airavata was Indra’s carrier, Padma is my carrier. Floating on the river on this boat, I  feel  oneness with the sky, earth, this old, green earth!  That’s  how my time goes on this boat, and I witness the myriad transformations of Nature.’

Translated by Chaitali Sengupta

Picture design by Anumita Roy

author avatar

Nature and Environment as seen by Rabindranath Tagore

Rabindranath Tagore: An Inspiration in Art

Avatar photo

Chaitali Sengupta

Leave a comment cancel reply.

Your email address will not be published.

You may also like

post-image

Stealing Some Me-Time: A Gift from Daughter

post-image

Raag Jhanjhavati

post-image

Valentine-Day Blues!

post-image

Religion & Politics: Calcutta High Court Restrains Devotees’ Darshan in Durga Puja

Durga puja: the conflict and contestations between vidya and avidya.

Avatar photo

Durga Puja for a Bong

post-image

The Focus: Mihir Upadhyay’s Love for Filmmaking

Avatar photo

The Pain of Separation: An Exploration of Lost Love

Avatar photo

The Unexpected Love Story: A Rom-Com, Ogo Bideshini

Avatar photo

Mahalaya: Ya Devi!

' data-src=

Spotlight: The Life and Times of Rishi Vedvyas

Avatar photo

Love Lost, Hope Found: A Journey Through Despair

Avatar photo

Spotlight: A Hard Look at Consumerism vs. Contentment

' data-src=

Life’s Challenges: A Journey of Love, Loss, and Hope

Avatar photo

Basudhara Roy’s Poetic Exploration of the Self and the World

Avatar photo

Gulmohar Glances: Fragility and Intensity of Love

Avatar photo

KINDLY NOTE: ARTICLES CAN ONLY BE REPRODUCED IN OTHER SITES WITH DUE PERMISSION AND ACKNOWLEDGEMENT TO DIFFERENT TRUTHS. YOU CANNOT REPUBLISH DIGITALLY OR IN PRINT WITHOUT ACKNOWLEDGEMENT. AUTHORS & POETS ARE ALSO NEEDED TO HEED TO IT. THEY TOO MUST SEEK PERMISSION TO REPRODUCE IT ELSEWHERE. THEY MUST HELP US PROTECT THEIR WORKS FROM BEING COPIED AND/OR PLAGIARISED.

IMAGES

  1. Rabindranath Tagore Biography In Bengali: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর জীবন পরিচয়

    biography on rabindranath tagore in bengali

  2. Rabindranath Tagore biography in Bengali pdf

    biography on rabindranath tagore in bengali

  3. Rabindra Nath Tagore Biography

    biography on rabindranath tagore in bengali

  4. Biography of Rabindranath Tagore. Rabindranath Tagore (7 May 1861–7…

    biography on rabindranath tagore in bengali

  5. Rabindranath Tagore Biography: Early Life, Education, Literary Work, Achievements & More

    biography on rabindranath tagore in bengali

  6. Excerpt: A Bengali Biography of Rabindranath Tagore by His Son

    biography on rabindranath tagore in bengali

VIDEO

  1. Rabindranath Tagore : Biography (Life, Education, Literary works)

  2. Life History of Rabindranath Tagore || বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী

  3. Rabindranath Tagore: A Simple Biography #writingclasses #shorts

  4. Rabindranath Tagore biography in english/Rabindranath Tagore biography

  5. Rabindranath Tagore's Biography

  6. Rabindranath Tagore Biography || रविंद्रनाथ टैगोर जीवन परिचय || पहले नोबल पुरुस्कार विजेता

COMMENTS

  1. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - উইকিপিডিয়া

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এফআরএএস (৭ মে ১৮৬১ – ৭ আগস্ট ১৯৪১; ২৫ বৈশাখ ...

  2. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী বাংলায় Rabindranath Tagore ...

    আজ আমরা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী বাংলায় (Rabindranath Tagore Biography in Bengali Language) সংক্ষিপ্ত আকারে জানব।

  3. Rabindranath Tagore Biography In Bengali ... - Bengaliportal

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) এর জীবনী: ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী এবং বিশ্ববিখ্যাত কবি রবীন্দ্রনাথের জন্ম 1861 খ্রিঃ 7 ই এপ্রিল, বাংলা ...

  4. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৮৬১–১৯০১) - উইকিপিডিয়া

    ১৮৯০ সালে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে পারিবারিক জমিদারির তত্ত্বাবধান শুরু করেন। বর্তমানে এই অঞ্চলটি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার অন্তর্গত। ১৮৯৮ সালে তার স্ত্রী ও সন্তানেরাও চলে আসেন শিলাইদহে। “ জমিদার বাবু” নামে পরিচিত রবীন্দ্রনাথ [২৫] এই সময় পারিবারিক বিলাসবহুল ঢাকাই বজরা পদ্মা -য় চড়ে সমগ্র জমিদারি তদারকি করে বেড়ান। [২৬] প্রজা বর্গের মধ্যে খাজনা আদা...

  5. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী|Rabindranath tagore biography in ...

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী. বাংলা সাহিত্য জগতে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনীর সম্পর্কে জানব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, যিনি ভারতের জাতীয় সঙ্গীত রচনা করেছিলেন এবং সাহিত্যের জন্য নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন, তিনি প্রতিটি অর্থেই একজন বহুমুখী ব্যক্তিত্ব ছিলেন।.

  6. Rabindranath Tagore | Biography, Poems, Short Stories, Nobel ...

    Rabindranath Tagore, the revered Bengali poet and polymath, left an enduring legacy through his profound literary works and became the first non-European Nobel laureate in Literature.

  7. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী – Biography of Rabindranath Tagore ...

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতের কলকাতায় 1861 সালের 7 মে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় (পূর্বে কলকাতা) এক বিশিষ্ট পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সারদা দেবীর তেরো সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন বিশিষ্ট দার্শনিক, ধর্মীয় নেতা এবং সংস্কারক, যখন সারদা দেবী গভীরভাবে সাংস্কৃতিক ও সামাজি...

  8. Rabindranath Tagore - Wikipedia

    Rabindranath Tagore FRAS (/ r ə ˈ b ɪ n d r ə n ɑː t t æ ˈ ɡ ɔːr / ⓘ; pronounced [roˈbindɾonatʰ ˈʈʰakuɾ]; [1] 7 May 1861 [2] – 7 August 1941 [3]) was a Bengali poet, writer, playwright, composer, philosopher, social reformer, and painter of the Bengal Renaissance.

  9. Excerpt: A Bengali Biography of Rabindranath Tagore by His ...

    Rathindranath Tagores Bengali biography of Rabindranath Tagore is an empathic and nuanced portrait of his father, creating a portrait of his life and fortune — an excerpt from Chaitali’s translation – an excl usive Special Feature on Tagore’s birth anniversary for Different Truths.

  10. Tagore, Rabindranath - Banglapedia - ONE Bank Ltd.

    A pioneering figure in the awakening of the Bengalis, Rabindranath's father Debendranath Tagore, studied in Kolkata's famous hindu college. When Dwarkanath was busy in extending his landed estates and businesses, his son Debendranath had been devoting himself to cultivating the life of a spiritualist.